সাতকানিয়া লোহাগাড়া চট্রগ্ৰাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম জেলা লোহাগাড়া উপজেলা আমিরাবাদ ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডে কিল্লার আন্দর এলাকায় উদ্ধার করা সরকারি জায়গা দখলের যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করছেন জায়গার মালিক সিরাজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও মুজিবুর রহমান গং।
তাঁরা দাবি করছেন সরকারি খাস জায়গা আমাদের পাশের দাগের জায়গা। যা স্থানীয় মহি উদ্দিন গং দের দখলে রয়েছে। তারা এটা দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখলে আছেন। আমাদের দখলে থাকা ২৬শতক জায়গার মধ্যে ১৩ শতক জায়গা ১৮/০৪/১৯৮৯ সালে আয়ুব আলী হতে ফৌজুল কবির গং থেকে ক্রয় করা এবং ১৩ শতক জায়গা আমাদের পৌত্রিক সম্পত্তি। মোট ২৬ শতক জায়গা দলিল ও বিএস মুলে দখলে আছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ মহি উদ্দিন সরকারি খাস জায়গা নিজের দখলে রাখতে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তমুলক তথ্য দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে অভিযোগ করেছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সরকারি খাস জায়গা বাদ দিয়ে আমাদের দলিল ও বিএস খতিয়ান মুলে ২৬ শতক জমির সীমা নিধারর্ণ করে দিতে বিগত ১৪মার্চ লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাজমুন লায়েলীকে আবেদন করেছি। আবেদনের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) পদুয়া তহসিলদার শরফুদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ সরকারি খাস জায়গা নিজের দখলে রাখতে ষড়যন্ত্র করে আমাদের ক্রয় করা পৌত্রিক সম্পত্তি সরকারি খাস জায়গা বলে ষড়যন্ত্র করছেন এবং বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছেন। আমরা এটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অথচ আমরা ১৮/৪/২০০৬ সালে ডিগ্রি পায়। বিবাদী মহি উদ্দিন এর ১৮/০৪/১৯৮৯ সালে করা মামলা খারিজ হয়ে যায়।
আমরা পর পর ২টি ডিগ্রি পেয়ে নামজারী জমাভাগ ৬৮/২০০৮-০৯ ইং মুলে ১৬/০৯/২০০৮ ইং তারিখের আদেশ মতে বর্তমানে ফৌজুল কবিরের নামে বিএস ৫০৭২ খতিয়ান সৃজন করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ২০২৪সালের খাজনা পষন্ত পরিশোধ আদায় করা হয়েছে। জায়গার মালিক সিরাজুল ইসলাম বলছেন প্রতিপক্ষ মহি উদ্দিন ষড়যন্ত্র করে পারিবারিক সম্মান হানি ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। তবে সত্যের বিজয় হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন এবং এব্যাপারে যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার কামনা করেছেন।