ঢাকা   ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষক সরাসরি ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি করছে পিস হিসাবে,বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসাবে

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, মার্চ ২১, ২০২৪
  • 98 শেয়ার

মো: ইলিয়াস শেখ,  কুয়াকাটা প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় এবারে মৌসুমের সেরা সুস্বাদু ফল তরমুজ,ক্ষেত থেকে কৃষকরা সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন পিস হিসেবে।ক্ষেতের সবচেয়ে বড় তরমুজ গুলো বিক্রি হচ্ছে আনুমানিক ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে। তবে সেই তরমুজ স্থানীয় বাজারে চড়া দামে পিস হিসেবে বিক্রি করলেও শহরের বাজারের সাধারণ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে কেজি হিসেবে।

কুয়াকাটার খাজুরা গ্রামের কৃষক মোঃ রাসেল আকন এবার প্রায় ১৮ একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন।কৃষক রাসেল আকনের সাথে কথা বলে জানা যায় ,১৮ একর জায়গায় তাদের তরমুজ চাষে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে।এখন প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পেরেছেন তারা, তবে তিনি আরো আশা করছেন বিক্রির পরে যে ফল ক্ষেতে রয়েছে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আরো ভালো অর্থ আসবে।

বালিয়াতলির তরমুজ চাষী কামাল হোসেন বলেন,কেজি হিসেবে নাকি পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করিনা।৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজগুলি আমরা প্রতি ১০০ পিস ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি।সর্বোচ্চ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় একদম বড় সাইজের তরমুজগুলি বিক্রি করি আমরা।

সারাদেশে পটুয়াখালীতে উৎপাদিত তরমুজের বেশ সুনাম রয়েছে। এ বছর কলাপাড়া উপজেলায় মোট ১৩২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।প্রায় সবগুলি ক্ষেতের তরমুজই পিস হিসেবে অথবা ক্ষেত অনুযায়ী বিক্রি হয়েছে।

তরমুজের পাইকার মোঃ রহিম যিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে খুলনা যশোর বিভিন্ন শহরে নিয়ে যান তার সাথে  কথা বলে জানা যায়, তারাও মোকামে নিয়ে পিস হিসেবেই বিক্রি করেন তরমুজ।কি কারনে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করাহয় সে তথ্য জানা নেই তার।তিনি আরও জানান, মৌসুমের শুরুতে তরমুজের দাম বেশি ছিলো এবং তারা তরমুজ কিনে অল্প কিছু লাভ করতে পেরেছেন। বর্তমানে সারাদেশের তরমুজ বাজারে আসতে শুরু করেছে যার কারনে তরমুজের দামও একটু কমেছে এবং সামনে আরও দাম কমবে বলে জানান তিনি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপযুক্ত আবহাওয়া ও বালু মিশ্রিত মাটি হওয়ায় উপজেলার কুয়াকাটা, মিঠাগঞ্জ, লালুয়া, বালিয়াতলী, চম্পাপুর, ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন  এলাকায় প্রায় ৪২,৪০০ মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে। কেজিতে নাকি পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন,”ক্ষেত থেকে কৃষকরা পিস হিসেবেই তরমুজ বিক্রি করছেন, তবে বাজারে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৪