শীতকে বিদায় দিয়ে দক্ষিনা ঝিরি ঝিরি বাতাসে প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। আর বসন্তের যৌবনের পূর্ণতা দিতে পথে প্রান্তরে সৌরভ ছড়াচ্ছে ভাঁট ফুল। গ্রামীণ সড়কের পাশে অবহেলা অনাদরে বেড়ে ওঠা এই ফুল কর্মে ছুটে চলা পথিকের ভালো লাগার কারণ হচ্ছে অজান্তে আনমনে।
চৈত্রের প্রথম থেকেই বগুড়ার শেরপুরে দেখা মিলছে এই ভাঁট ফুল। ভাঁট ফুলের আরেক নাম বনজুঁই। এলাকা ভেদে এই ফুলের আরও ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। যেমন: ভামোট ফুল, ভাইটা ফুল, ভাত ফুল, ঘেঁটু ফুল, ঘণ্টাকর্ণ ইত্যাদি। ২-৪ মিটার দন্ডায়মান এই গাছের পাতার আকৃতি খসখসে ও কিছুটা পানপাতার মতো। সাদা পাপড়ির সাথে বেগুনি রংয়ের মিশ্রণে ভাঁট ফুল আরও নান্দনিক হয়ে উঠে। ফুল ফোটার পর ভাঁট ফুলে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মৌমাছিরা।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঁট ফুলের গাছ আগের মত দেখা মেলে না। রাস্তার ধার ও জমির আইল সংস্কার করার জন্য এই গাছ কেটে ফেলা হয়। ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ভাঁট ফুল ফোটে। রাতের বেলা এই ফুলের সৌরভ পাওয়া যায়।
হাকীম এফ শাহজাহান জানান, নানান রকমের ঔষধি গুণসম্পন্ন এই ভাঁট গাছ। কৃমি, চুলকানি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও উদরাময় প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে ভাঁট গাছ ও ফুল উভয়ই ব্যবহার করা হয় ।